ভবিষ্যতে কারাখানায় নতুন এক ধরনের শ্রমিকের দেখা মিলবে। ভবিষ্যতে কারখানায় মানুষ বা বিশালাকার রোবট শ্রমিকের পরিবর্তে কাজ করবে পিঁপড়া আর প্রজাপতির মতো ক্ষুদ্রাকার একঝাঁক রোবট শ্রমিক। খবর টেলিগ্রাফ অনলাইন।

সম্প্রতি জার্মানির বেসরকারি অটোমেশন প্রতিষ্ঠান ফেস্টো কারখানায় কাজের উপযোগী করে রোবট পিঁপড়া ও প্রজাপতির ঝাঁক তৈরি করেছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারাদের দাবি, পিঁপড়ার মত বিশেষায়িত এই ক্ষুদ্র যন্ত্রগুলো দল বেঁধে একত্রে কাজ করতে সক্ষম। বর্তমানে এই বিষয়টি নিয়ে আরও গবেষণা চালানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে শ্রমিক হিসেবে কারখানায় মানুষ বা বিশালাকার রোবটের বদলে এই যন্ত্রগুলোকে কাজে লাগানো যাবে।
ফেস্টো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বায়োনিক লার্নিং নেটওয়ার্ক নামের একটি প্রোগ্রাম বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মিলে ফেস্টোর পরিচালনা করে যাতে বিভিন্ন প্রাণীর মতো রোবট তৈরি করতে সফল হয়। সম্প্রতি ক্ষুদ্র মোটর ও পাখাযুক্ত খুবই হালকা যান্ত্রিক প্রজাপতি তৈরি করেছে ফেস্টো যা একসঙ্গে উড়তে পারে। একটি কেন্দ্রীয় কম্পিউটার এই প্রজাপতিগুলোর নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। প্রজাপতিগুলোর পাখার দৈর্ঘ্য ৫০ সেন্টিমিটার এবং ওজন ৩২ গ্রাম। ব্যাটারির শক্তির সাহায্যে একটি প্রজাপতি চার মিনিট পর্যন্ত উড়তে পারে।
আরেকটি প্রকল্প হচ্ছে, পিঁপড়ার ঝাঁক। একঝাঁক পিঁপড়া একত্রে একটি কাজ সহজে সম্পাদন করতে পারে। প্রতিটি পিঁপড়া দৈর্ঘ্যে সাড়ে ১৩ সেন্টিমিটার। এর মাথার সামনে স্টেরিও ভিডিও ক্যামেরা বসানো থাকে। এর পা তৈরি নমনীয় সিরামিক দিয়ে। পায়ে পিজোইলেকট্রিক প্রযুক্তি বসানো থাকে যার সাহায্যে এটি নড়াচড়া করতে পারে। এই পিঁপড়াগুলো নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ ও কাজ সম্পাদন করতে পারে।